বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) এর সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিডার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সঙ্গে ছিলেন সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম, এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিশেষভাবে জোর দেন গভীর সমুদ্র গবেষণা এবং মহেশখালী অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি স্থাপনের ওপর। তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা সমুদ্র জগতে এখনও প্রবেশ করিনি, এ বিষয়ে গবেষণা ও তথ্যও সীমিত। অন্য দেশের গবেষণা ও ফাইন্ডিংস খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্বভাবে গবেষণা চালাতে হবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, এবং ওশান ইকোনমি নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা উচিত।”
প্রধান উপদেষ্টা পরিবেশ সংরক্ষণেও গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কেও আলোচনা হয়। তিনি বলেন, “অঞ্চলের বনভূমি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে এবং ভবিষ্যতে আমরা তা কীভাবে দেখতে চাই, সেই পরিকল্পনাও তৈরি করতে হবে।”
এতে মিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫-৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০-৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫-৫৫ পর্যন্ত।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশের জিডিপিতে ১.৫শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।