বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ নয়টি অঞ্চলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে। এসব এলাকার অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে—রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদীবন্দর থেকে সব ধরনের অভ্যন্তরীণ লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। একইসাথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল থেকে দমকা বাতাস ও নদী উত্তাল থাকায় ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। একইসাথে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের চারটি বিভাগের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আজ ও আগামীকাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে শনিবার থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসতে পারে।