বড়াইগ্রামে বৃদ্ধাকে মুখমণ্ডল থেতলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:২৬ অপরাহ্ণ   |   ১৭৬ বার পঠিত
বড়াইগ্রামে বৃদ্ধাকে মুখমণ্ডল থেতলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

নাটোর প্রতিনিধি:-



নাটোরের বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম (৬৯) নামের এক বৃদ্ধাকে মুখমণ্ডল থেতলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত্রি সাড়ে আটটার দিকে তার নিজ বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের সরদারপাড়া মহল্লার মৃত শফিউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের সহধর্মিনী। 

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর গত একযুগ ধরে বাড়িতে একাই থাকতেন মমতাজ বেগম। এক ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু থাকেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন বাবার অন্য একটি বাড়িতে এবং এক মেয়ে বেবি আক্তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মায়ের দেখা শোনার করার জন্য রেখেছেন দুইজন গৃহকর্মী। সাংসারিক কাজ সেরে সন্ধ্যায় চলে যায় সুফিয়া বেগম(৪০)। সারাদিনের অন্যান্য দায়িত্ব শেষে রাত্রিতে প্রহরির দায়িত্বে থাকেন কাজী আবু শামা(৬১)। 


প্রতিদিনের ন্যায়  আবু শামা সরদারপাড়া জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে ওই বাড়িতে ফিরে দেখেন মমতাজ বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে খাটের নীচে পড়ে আছেন, তার মুখমণ্ডল থেতলানো। তিনি চিৎকার করলে ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের লোকজন এসে মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে ভ্যান যোগে দ্রুত নিকটস্থ পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
এ সময় মমতাজ বেগমের পরিহিত বেশ কয়েকটি স্বর্ণালংকার তার শরীরে না থাকায় পরিবারের ধারণা ফাঁকা বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা থেকে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির গৃহকর্মী কাজী আবু সামা ও সুফিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

 

বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড যা খুবই দুঃখজনক, একজন বৃদ্ধাকে কি কারণে হত্যা করা হলো তার তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।