সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা ছালামত উল্লাহ নাম ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ জুন ২০২৫ ০৬:৪০ অপরাহ্ণ   |   ১০৩ বার পঠিত
সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা ছালামত উল্লাহ নাম ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কাইয়ুম চৌধুরী,সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):-

 

বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছালামত উল্যাহর নাম ব্যবহার করে  দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকায় অনলাইনে তিনি মতামত জানান বলে   মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে এসে লিখিতভাবে পাঠকরে  সংবাদ সম্মেলন করে তীব্রপ্রতিবাদ জানান।


তিনি বলেন, আমি  দুঃখ ভারাক্রান্ত ভাবে অদ্য ০৩/০৬/২০২৫ইং তারিখ আপনাদের সীদাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাজির হয়েছি যে, আপনাদের প্রেস ক্লাব দখলবাজীতে জড়িত থাকার কারণে প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কৃত জহিরুল ইসলাম জহির আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মধ্যে আমার সাথে দ্বন্দ্ব বাধানোর জন্য সে (জহির) মনগড়া ভাবে গত ১ জুন ২৫ইং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অন-লাইনে" মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন " আমার বরাত দিয়ে আমার জাতীয়তাবাদী দলের জেলা ও উপজেলার নেতাদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ডবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য সংবাদ প্রচার করে। যা কিনা বহুল প্রচারিত  দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অন-লাইনসহ প্রিন্ট পত্রিকাকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল।

 

সাংবাদিকগন  হচ্ছে জাতির বিবেক, কিন্তু জহির কত বড় মিথ্যাবাদী নিজেকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় তুলে ধরা একজন ব্যক্তি। কারণ তিনি আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই আমি বলেছি বলে আমার দেশ পত্রিকায় কোন নেতার নাম উল্লেখ না করে বিএনপি জেলা ও উপজেলা দুই নেতার নামে লিখে মিথ্যা নিউজ করে দিলেন। যা কিনা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। তিনি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রচার করেন" শ্রমিক লীগ নেতা শাহাবুদ্দীন গ্রেফতার " সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি। গ্রেফতারকৃত উক্ত শাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে জহির আমার বরাত দিয়ে লিখলেন, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ আমার দেশকে বলেন, বাঁশবাড়ীয়া ঈউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং শাহাব উদ্দিনসহ ৯ জন মেম্বার বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে অবৈধ পন্হায় শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির একজন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির অপর একজন সিনিয়র নেতাকে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তাদের ছত্রছায়ায় ৫ আগষ্ট জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেম্বার সাহাব উদ্দিনসহ ৯ জন মেম্বার এলাকায় অবস্হান করে ইউনিয়ন পরিষদে অফিসও করছেন। এমনকি আওয়ামীলীগ নেতাদের ড্রেজার দিয়ে আমার বিএনপির দুই নেতা বালু উত্তোলনে জড়িত আমার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রচার করে। যা প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূন্য ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অথচ আমার বাঁশবাড়ীয়া এলাকায় উপজেলা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার কোন নেতা এধরণের অনৈতিক কোন কাজে জড়িত নেই। অথচ এই অপ-সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জহির এধরণের কোন বক্তব্য আমার কাছ থেকে নেন নি। তিনি আমার মধ্যে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব বিগ্রহ বাধানোর জন্য অপ-চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। সুতরাং এই ধরনের মিথ্যা বানোয়াট বিবৃতি আমাকে দিয়ে সাজানোর কারণে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,সাথে সাথে তাকে আমার দেশ পত্রিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য জোড় দাবী জানাই।