কুয়াকাটা (পটুয়াখাখালী) প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শনিবার সকালে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, পটুয়াখালী জেলার ভ্যাট কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার না করা হলে আগামী সোমবার সকাল থেকে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম.এ. মোতালেব শরীফ বলেন, “আমরা নিয়মিত সরকারের ভ্যাট প্রদান করি। কিন্তু ভ্যাট আদায়ের সময় একজন কর্মকর্তার অশালীন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। রোববারের মধ্যে তাকে প্রত্যাহার না করা হলে সোমবার থেকে কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।”
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৮ অক্টোবর সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলম ‘হোটেল সৈকত’-এ ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে এসে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। মালিক উপস্থিত না থাকায় ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি এম.এ. মোতালেব শরীফকেও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।
বক্তারা বলেন, কুয়াকাটা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ পর্যটন খাতের জন্য অশুভ সংকেত। তারা অবিলম্বে ওই কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, হোটেল আল হেরা চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম মান্নান, কুয়াকাটা শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হোসাইন আমির, ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে.এম. বাচ্চু, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ ১৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এর আগে ১২ অক্টোবর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবিতে ওই কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়েছিল সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলম বলেন, “আমরা ভ্যাট জরিপে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম, কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।”
তবে অসদাচরণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ঘটনাস্থলে রাজস্ব কর্মকর্তার উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব কাউসার হামিদ বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভ্যাট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।”