নওগাঁয় এনসিটিএফ এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত: নতুন নেতৃত্বে সমাদৃতা-নাফি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৪১ অপরাহ্ণ   |   ২১৮ বার পঠিত
নওগাঁয় এনসিটিএফ এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত: নতুন নেতৃত্বে সমাদৃতা-নাফি

ঢাকা প্রেস,শহিদুল ইসলাম (নওগাঁ):-

 

নওগাঁয় অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। 
 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল)  বিকালে আয়োজন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন নেতৃত্বে নির্বাচিত হয়েছেন সমাদৃতা রায় (সভাপতি) এবং আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাফি (সাধারণ সম্পাদক)।
 

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ইয়েস বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ নির্বাচনে সভাপতিত্ব করেন এনসিটিএফ নওগাঁ জেলার সহ-সভাপতি গৌরী কুন্ডু। অতিথি ও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ নওগাঁর উপদেষ্টা ডা. মো. ময়নুল হক দুলদুল এবং মামুন হাসান নয়ন। তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করেন গৌরী কুন্ডু, অপূর্ব চক্রবর্তী ও মাহমুদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইয়েস বাংলাদেশের জেলা ভলান্টিয়ার মুনিরা সুলতানা ও আল মামুন রুপস।
 

নবনির্বাচিত সভাপতি সমাদৃতা রায় একজন ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক নাফি একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তাদের নেতৃত্বে আগামী দুই বছর জেলায় শিশু অধিকার, নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
 

এছাড়াও শিশু সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আল শাহরিয়ার এবং বরালিকা সাহা তুষ্টি। উভয়েই শিশু অধিকার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন।
 

ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স (NCTF) একটি শিশু-কিশোর নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠন, যা শিশুদের অধিকার, সুরক্ষা, অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। এই সংগঠনের অধীনেই পরিচালিত হয় “চাইল্ড পার্লামেন্ট” নামক অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিশু প্রতিনিধিরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সমস্যা ও চাহিদা তুলে ধরার সুযোগ পায়।
 

নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত ১১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি আগামীতে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। সেখানে তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের সামনে শিশুদের সমস্যা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে।
 

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে শিশুদের দ্বারা পরিচালিত হলেও, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের জন্য ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক পর্যবেক্ষকরা। এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।