মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে আলোচনার মুখে খোদা বখস চৌধুরী বলেছেন, “এই আইন প্রথমবার মেঘনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে, যা এখন আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খোদা বখস বলেন, “আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার বেআইনি কিছু করেছে। আদালত আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে, আমরা উত্তর দেব।”
আইন উপদেষ্টা মেঘনার গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন—এমন প্রশ্নে খোদা বখস বলেন, “তিনি কোন প্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন আমরা জানি না। আমাদের সঙ্গে তার এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
এক সাংবাদিক ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে দেওয়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য—“জনগণ সরকারকে পাঁচ বছর দেখতে চায়”—এর প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, “আমি এমন কিছু বলিনি। এটা জনগণের কথা। নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই, এমন মন্তব্য করার প্রশ্নই ওঠে না।”
মেঘনা আলমের ঘটনার পর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্বে পরিবর্তন নিয়মিত ব্যাপার। ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণেই তাকে সরানো হয়েছে।”
পুলিশ এখনো জনগণের অভিযোগ গ্রহণ করে না—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে খোদা বখস বলেন, “এটা নতুন নয়, পুরোনো সমস্যা। তাই অনলাইনে জিডি ও এফআইআর গ্রহণ প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এটি শুরু হবে।”
জুলাইয়ের আন্দোলনে ‘রাঘববোয়াল’দের না ধরে ‘চুনোপুঁটি’দের ধরা হচ্ছে—এমন প্রশ্নে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “রাঘববোয়ালদের কেউ ছাড় পাচ্ছে না। তারা জালে পড়লে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন অভিযোগের সুযোগ আছে।”