দলিল থাকলেও ছাড়তে হবে এই ৫ ধরনের জমি: ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৫৮ অপরাহ্ণ   |   ১৮৩ বার পঠিত
দলিল থাকলেও ছাড়তে হবে এই ৫ ধরনের জমি: ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ ধরনের জমির দখল ত্বরিত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে—যদিও সেগুলোর দলিল থাকতে পারে। 최근 প্রকাশিত সরকারি পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ স্পষ্ট করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব জমি যদি অবৈধভাবে দখলে থাকে তবে তা অবিলম্বে ছাড়তে হবে; না মানলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “দলিল যার, ভূমি তার”—এ ধারণা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে দলিল থাকলেও মালিকানা ও দখলের আইনগত ভিত্তি সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নাও হতে পারে।
 

কোন পাঁচ ধরনের জমি ছাড়তে বলা হয়েছে

১) সাব-কবলা দলিল
যেসব সাব-কবলা দলিল উত্তরাধিকার বণ্টন সম্পূর্ণ না করে বা কোনো উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে করা হয়েছে—সেগুলো বাতিলযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বঞ্চিত উত্তরাধিকারী মামলা করলে দখলদারের দলিল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

২) হেবা দলিল
যদি দাতার পূর্ণ মালিকানা না থাকে, সঠিক প্রক্রিয়া না মেনে দেয়া হয় বা শর্ত লঙ্ঘন হয়—তাহলে হেবা দলিলও বাতিলের আওতায় আসবে।

 

৩) জাল দলিল
ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সুযোগে জাল দলিল শনাক্ত করা সহজ হওয়ায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির মাধ্যমে গঠিত দলিলগুলোও প্রকৃত মালিক প্রমাণ করতে পারলে বাতিল করা হবে।

 

৪) খাস খতিয়ারভূক্ত জমি
সরকারি (খাস) খতিয়ানভুক্ত জমি কেউ নিজের নামে করে বিক্রি করলে সেই দলিল বাতিল ঘোষণা করা হবে। জেলা প্রশাসকদের এসব জমি সরকারের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

৫) অর্পিত/পরিত্যক্ত সম্পত্তি
যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্পিত (পরিত্যক্ত) সম্পত্তি ব্যক্তিগতভাবে দখলে রাখা যাবে না। এসিল্যান্ডদের এসব জমি চিহ্নিত করে সরকারকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

 

আইনি নোট ও সরকারের লক্ষ্য

পরিপত্রে বলা হয়েছে, এসব জমির দখল আদালতের রায় ছাড়া টিকিয়ে রাখা যাবে না। ফলে যারা দীর্ঘদিন এসব জমি ব্যবহার করে আসছেন তাদের দ্রুত আইনগত প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 

সরকারের উদ্যোগের উদ্দেশ্য হিসেবে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে—সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।
 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “ভূমি ব্যবস্থা স্বচ্ছ করতে এখন থেকে অবৈধ দখল কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”