নাটোর প্রতিনিধি:-
নাটোরের গুরুদাসপুরে এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রতারণার মামলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় স্ত্রীর গর্ভে সাত মাসের সন্তান থাকার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফিরোজ আলী ও রাজশাহী তানোর থানার এক তরুণী শিমলা আক্তার রিয়ার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক মাসের পরিচয়ের পর, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তবে, সম্প্রতি ফিরোজের স্ত্রী রিয়া তাকে জানায় যে সে সন্তানসম্ভবা। এ খবর শোনার পর, সন্দেহ হলে ফিরোজ আলী নাটোর আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রীকে নিয়ে যান।
চিকিৎসা কেন্দ্রের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে করা স্ক্যানে দেখা যায়, রিয়ার গর্ভে ২৮ সপ্তাহ বয়সী (প্রায় সাত মাসের) সন্তান রয়েছে। অর্থাৎ, বিয়ের আগেই ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন। এই ঘটনা জানার পর 17 এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে পাশের গ্রামের জলিলের ছেলে রাব্বির সাথে নগর ৩০হাজার টাকা ২টা সোনার চেইন ও এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় প্রতারিত বোধ করে ফিরোজ আলী গুরুদাসপুর আমলী আদালতে প্রতারণা, জালিয়াতি, ব্ল্যাকমেইল এবং ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার নম্বর ২১৩/২৫ (গুরু)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী রিয়া বিয়ের পূর্বেই রাব্বি নামের এক যুবকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে তার সঙ্গে পালিয়ে যান। রাব্বির বাড়িও গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ী পাবনিয়া পাড়া।
বাদীর অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি শুধু প্রতারিতই হননি, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন।
এই ব্যতিক্রমধর্মী মামলাটি এখন নাটোরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।