দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর চিলমারীতে আবার ট্রেন  চলাচল 

প্রকাশকালঃ ২১ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০৬ অপরাহ্ণ ৪০২ বার পঠিত
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর চিলমারীতে আবার ট্রেন  চলাচল 

ঢাকা প্রেস
হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর আবারও আসল রমনা মেইল। এটি চিলমারী অঞ্চলের মানুষের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ট্রেন, রমনা লোকাল ট্রেন।

করোনা প্রাদূর্ভাবের কারনে গত ২০২০ সাল হতে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকা রমনা ট্রেনটি আবারো চালু হওয়ায়, চিলমারী তথা কুড়িগ্রামবাসীর মনে আনন্দের জোয়ার বইছে। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা মেইল ট্রেনটি, কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌছিলে জানান স্টেশন মাস্টার মোঃ বাবলু মিয়া। জানাযায় গত করোনাকালীন সময় ২০২০ সালের ১ লা মার্চ, কুড়িগ্রাম থেকে রমনা মেইল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে আর ফিরে আসে নাই। ইঞ্জিন স্বল্পতা, জনবল কম ও করোনাকালীন সময়ে মানুষের মাঝে করোনা প্রাদূর্ভাব ছড়ানোসহ নানা কারনে সারা দেশে ট্রেন বন্ধ হওয়ার সময়, রমনা মেইল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। আজ প্রায় সাড়ে চার বছর পর পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা মেইল ট্রেনটি, কুড়িগ্রামের চিলমারী রমনা স্টেশনে পৌছে দুপুর ১.২৫ মিনিটি।


 



ট্রেনটি পৌছার সাথে সাথে স্থানীয়দের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। পরে ১.৪০ মিনিটে চিলমারীর রমনা স্টেশন থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেনের যাত্রী মোঃ আব্দুল বাতেন, রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর বন্ধ হওয়া রমনা মেইলটি চালু হওয়ায় আমাদের খুবই উপকার হয়েছে। ব্যবসা-বানিজ্য ও যাতায়াতের জন্য আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুর ইসলাম বলেন, রমনা ট্রেনটি ছিল আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় আমরা যাতায়াত নিয়ে অনেক ভোগান্তিতে ছিলাম। আজ ট্রেনটি চালু হওয়ায় আমাদের খুব উপকার হয়েছে। কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ বাবলু মিয়া বলেন, দুপুরে রমনা ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে চিলমারী রমনা স্টেশনে আসে। ট্রেনটি দেখতে শতশত উৎসুক জনতা ভীড় করেন। কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া ট্রেনটি আবার পার্বতীপুরের উদ্দেশ্য চলে যায়। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম বলেন, আজ হতে রমনা মেইল ট্রেনটি কুড়িগ্রাম রমনা-পার্বতীপুর রুটে চলাচল শুরু হলো। এখনো রাস্তা সংস্কারে কাজ চলছে। এছাড়া রমনায় নতুন স্টেশন বিল্ডিং, শেড, থাকার রুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।