আন্তর্জাতিক সূচি চলাকালীন সময়ে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোনো ক্রিকেটার এখন থেকে জাতীয় দলের খেলা চলার সময় বিদেশি কোনো লিগে খেলতে পারবেন না।
পিসিবির এ হঠাৎ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মতো তারকারা। তাদের বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার পিসিবি জানায়, খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ফিটনেস বজায় রাখার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বোর্ডের প্রধান লক্ষ্য আসন্ন বিশ্বকাপ ও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখা।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ জানানো হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে খেলোয়াড়দের ‘এনওসি’কে (অনাপত্তিপত্র) পারফরম্যান্সভিত্তিক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে পিসিবি। এর মানদণ্ড কী হবে তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বিবিএলে চুক্তিবদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সিডনি সিক্সার্সে বাবর আজম, ব্রিসবেন হিটে শাহীন আফ্রিদি, মেলবোর্ন রেনেগেডসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের খেলা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। এছাড়া হারিস রউফ, শাদাব খান, হাসান আলিসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ও বিবিএলের বিভিন্ন দলে যুক্ত ছিলেন।
শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ নয়, এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি২০ এবং বাংলাদেশের বিপিএল–এর ওপরও। আগামীকাল (১ অক্টোবর) আইএলটি২০ নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাকিস্তানের ১৮ জন ক্রিকেটারের নাম রয়েছে। অন্যদিকে ডিসেম্বরের বিপিএল ড্রাফট এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বরাবরই এই টুর্নামেন্টের বড় আকর্ষণ। পিসিবির নতুন নীতির কারণে এবার তাদের অংশগ্রহণই অনিশ্চয়তার মুখে।