মুরাদনগরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৭ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা।

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩১ জুলাই ২০২৫ ১০:০৭ অপরাহ্ণ   |   ১৪১ বার পঠিত
মুরাদনগরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৭ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা।

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:-

 

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ৭ জন সাংবাদিক। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লামা চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকরা হলেন দেশ টেলিভিশনের কুমিল্লা প্রতিনিধি সুমন কবির ভূঁইয়া, বার্তা২৪-এর প্রতিনিধি মঈন নাসের খাঁন রাফি, দৈনিক নিউজের শাহ ইমরান, স্টার নিউজের আব্দুল্লাহ আল মারুফ, আমার বার্তার হাবিবুর রহমান মুন্না, এশিয়ান টিভির মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ এবং এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান মোঃ বাপ্পি।

 

হামলাকারীরা এ সময় সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি ক্যামেরা ভাংচুর করে। ঘটনার পর থেকেই সাংবাদিক মহলসহ সচেতন নাগরিক সমাজ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার পিতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আল্লামা চত্বরে পৌঁছালে বিএনপি নেতা শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ সমর্থকরা সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে এবং হামলা চালায়।

 

আহত সাংবাদিক শাহ ইমরান বলেন, “আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম, আমাদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।” হাবিবুর রহমান মুন্না জানান, “হামলার ভিডিও সংগ্রহ করছিলাম বলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। বার্তা২৪-এর প্রতিনিধি ও কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন নাসের খাঁন রাফি বলেন, “এই হামলা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়; এটি বাকস্বাধীনতা ও সত্যের ওপর আঘাত। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়, এটি সাহসের প্রতীক। কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু বলেন, “সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নন। তাদের ওপর হামলা কাপুরুষতার পরিচয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

 

কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সেটাই প্রত্যাশা। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “হামলায় কায়কোবাদ সমর্থকরা জড়িত নয়। কেউ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি জানা গেছে। হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও আমাদের হাতে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।