টেস্ট ম্যাচ ফি বেড়ে ৮ লাখ টাকা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৪ মার্চ ২০২৫ ০১:১৩ অপরাহ্ণ   |   ৮১ বার পঠিত
টেস্ট ম্যাচ ফি বেড়ে ৮ লাখ টাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক:-

 

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পক্ষ থেকে টেস্ট ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই প্রস্তাবটি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গতকাল অনুমোদিত হয়েছে। মূলত টেস্ট ক্রিকেটারদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি ম্যাচ ফিও বেড়েছে। টেস্টের ম্যাচ ফি ছয় লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে আট লাখ টাকা করা হয়েছে। ওয়ানডে ম্যাচের ফি চার লাখ টাকা এবং টি২০ ম্যাচের ফি দুই লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা আগে ছিল তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা।
 

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই বছরের সাইকেলে বাংলাদেশ ১৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। মুমিনুল হকরা যদি সব ম্যাচ খেলে, তবে ম্যাচ ফি হিসেবে তারা ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা পাবেন। পাশাপাশি, তাদের মাসিক বেতনও থাকবে। মুমিনুল, সাদমান ইসলাম অনিক অথবা খালেদ আহমেদরা শুধু টেস্ট খেলেও বছরে কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবেন বিসিবি থেকে। তিন সংস্করণে খেলা ক্রিকেটারদের জন্য উপার্জনের পরিমাণ আরও বেশি হবে। ম্যাচ ফি, বেতন এবং বোনাস মিলিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজরা বছরে ৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন।
 

সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে। এক বা দু’জন খেলোয়াড়কে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তালিকা প্রকাশ করা হবে। সৌম্য সরকার চুক্তিতে ফিরবেন, তবে সাকিব আল হাসান এবং নুরুল হাসান সোহান চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন।
 

এছাড়া, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের চুক্তি নবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, প্রধান কোচ ফিল সিমন্সসহ দেশি-বিদেশি কোচদের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি নবায়ন করতে বলা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে ফিল সিমন্সের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন ফাহিম। অফিসিয়ালভাবে সুযোগ-সুবিধা এবং কাজের পরিধি নিয়ে আলোচনা করে চুক্তি নবায়ন করা হবে, যা ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 

ফাহিম আরও জানান, জাতীয় দল এবং এইচপির জন্য দুইজন আন্তর্জাতিক মানের ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে। পাইপলাইন থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে কোচিং স্টাফদের সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া, পূর্বাচল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে 'ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম' রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু জানান।