চিলমারীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫ পালিত 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩১ মে ২০২৫ ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ   |   ১২১ বার পঠিত
চিলমারীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫ পালিত 

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-



সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে '' তামাক   কোম্পানীর কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধির দাবিতে চিলমারীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।


শনিবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি রেলি বের হয়ে, উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে  শেষ হয়েছে। পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,  চিলমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী  সরকার, চিলমারী উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক  নুর আলম মুকুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রহমান, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি গোলাম মাহবুব, চ্যানেল 69 চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন, দৈনিক মানবজমিন ও দাবানল প্রতিনিধি ,সাওরাত হোসেন সোহেল, দৈনিক জনতা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, দৈনিক ডেসটিনি ও আমাদের প্রতিদিন প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি ফয়সাল হক রকি  ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ প্রমূখ।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে, তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এই বিশ্ব ব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাক মুক্তর দাবি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তামাকমুক্ত করার সব চেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হলো মূল্য ও কর বাড়িয়ে এটিকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া। বক্তারা আরও বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সের ব্যক্তির নিকট বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং এটা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। এবং এই আইন অমান্যের কারণে ৫০০০ টাকা জরিমানা। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই  শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নেশা থেকে রক্ষা করা আমার, আপনার সবার দায়িত্ব। তাই আসুন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করতে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি। বলে জানান তারা।