কোটা নিয়ে সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৬৮ বার পঠিত
কোটা নিয়ে সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রয়োগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে ভর্তি প্রসঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়।
 

গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:

১. উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

  1. সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করবে।

৩. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করবে।

 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে গত বছর ঢাকাসহ সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে উচ্চ আদালত একটি রায় প্রদান করেন। রায়ের ভিত্তিতে বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে এবং অবশিষ্ট ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
 

এই ৭ শতাংশের মধ্যে:

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ,
  • ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ,
  • প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত রয়েছে।
     

এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বিদ্যমান।
 

সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কোটা সংক্রান্ত বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।