‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, নির্বাচন যথাসময়ে হবেঃ হাছান মাহমুদ

প্রকাশকালঃ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ ১৮৬ বার পঠিত
‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না,  নির্বাচন যথাসময়ে হবেঃ হাছান মাহমুদ

থ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।' সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এত সহজ নয়’, এই মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছে, এবারও সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তে দমন করবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না।’


নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়াবে না উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারও জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। আমরা আশা করবো, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাদের কোন নেতা কী বললো এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কিনা সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’

তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে, জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে, ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করবো তারা অংশগ্রহণ করবে।’


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’—এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল, তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে যে রোহিঙ্গারা এসেছিল, সেই রোহিঙ্গারা এখনও আছে। ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। 

১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল, যখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না রোহিঙ্গা সমস্যার কোনও সমাধান হোক। কারণ, বিএনপির সঙ্গে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে। এ জন্য ওনারা প্রকৃতপক্ষে চায় না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি কূটনৈতিকভাবে এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ, এই সমস্যার সমাধান হবে।’