ঢাকা প্রেস
হাফিজুর রহমান,রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি (কুড়িগ্রাম):-
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রভাব বিস্তার, আইন ও বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের উপস্থিত ঠেকাতে একদল সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি করাসহ যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জনপ্রিয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর পেশাগত ও জনপ্রিয়তার ইমেজকে সংকটে ফেলতে এবং রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এমনকি নামে-বেনামে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রিয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে দাবী করা হয়েছে যে, "উক্ত ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার) আইন নীতিমালা পরিপন্থী কাজ করে চলেছেন। একই সঙ্গে তিনি ফৌজদারি অপরাধেও জড়িত। সংশ্লিষ্ট আইন ও ধারায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ওই মিথ্যা সংবাদে জনপ্রিয় এই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরা হয়।
তবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে আমাদের অনুসন্ধানে উপরোক্ত অভিযোগের সঙ্গে ওই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। করা হচ্ছে নামে-বেনামে মিথ্যা অভিযোগও। মূলত চেয়ারম্যান নিজেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তাকে আসতে বললেও তিনি আসেননি। ফলে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী। তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান-১। সকল নিয়ম মেনে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে। এতে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে জনসাধারণ।
গণমাধ্যমের সামনে আসা ও আনিত অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী। এতে তিনি বলেন, "একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করছি অসত্য তথ্যসম্বলিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন না করতে।"
আইন উপেক্ষা প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, "দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়া, ভূমিদখল, বৃক্ষ নিধন সহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্য, সম্প্রতি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছি। সরকার আমাকে গেজেট দিয়েছে। তাই আইন অনুসারে নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সহিতই সকল কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এগুলো কি অপরাধ না? সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কেও সবার জানা উচিত, মানা উচিত। দেখা যাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।"
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। -এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। ইউপি নির্বাচনের পরে প্রথম মিটিংয়ে রেজুলেশন করে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়নের অনেকেই সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের দিক বিবেচনা করে কাগজপত্র স্বাক্ষর করছি আমি। অথচ শুধুমাত্র আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা হতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না। প্রয়োজনে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয়লাভ করেন। জনপ্রিয় এই মেম্বার অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি ইউপি সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অপরাধ-অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান জিরো টলারেন্স।