সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে পিতার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশকালঃ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ ৩৮৫ বার পঠিত
সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে পিতার সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ছেলেকে হত্যা মামলার দেড় মাসেও এজাহারভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন বাবা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

 

গত ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর কলেজ ছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করেছেন।

 

নিহত জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯) উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

নিহতের বাবা আব্দুল জলিল আমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৯ জুলাই  রাত ১টা হতে রাত ৩ টার মধ্যে যে কোন সময় আমার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র জোবায়ের হোসেন আমিন (২১) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টুনের নীচে ফেলে দেয়।

 

পরদিন পুলিশ তার মহদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্ত শেষে আমার নিকট হস্তান্তর করেন। 

 

এব্যাপারে ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় ফজলুল হকের ছেলে মোঃ সাইনান স্বচ্ছ (২১), পিতা- মোঃ ফজলুল হক, ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১) সহ আরো ৬/৭ অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। মামলা নং- ০৬, জিআর নং- ৫২/২৪ (চিলঃ)।

 

তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয় চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সিআই মোঃ নাজমুল হককে। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার করা হয় নাই। আসামীদ্বয় আমার নিহত ছেলের সাথে চলাফেরা করতো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতে পারে। তারই অংশ হিসেবে আমার ছেলেকে গত ১৮ জুলাই  রাত ১০টার সময় আমার বাড়ীর সামন থেকে মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফিরা শেষে চিলমারী বন্দরের রমনা ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে জোবায়ের হোসেন আমিন (২১) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টনের নীচে ফেলে দেয়। 

 

নিহতের বাবা আরও জানান, মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে আসামীদের নাম থাকা সত্বেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেপ্তার করছেন না। আমি অতি দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জোড় দাবী জানাচ্ছি।