চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মোছাম্মৎ সাদিয়া সুলতানা আরফি (১৯) নামে এক নববধূকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী মিজানুর রহমান রিদুয়ান (৩০)কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে বাড়ির শৌচাগার থেকে আরফির লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত মাস আগে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রকাশ জাহেদের মেয়ে আরফি বরকল ইউনিয়নের মিজানুর রহমান রিদুয়ানের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা আরফিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোরে স্বামী তাকে গলায় চাপ দিয়ে হত্যা করে মরদেহ শৌচাগারে রেখে দেয়। সকালে ঘরের দরজা খোলার দেরিতে পরিবারের লোকেরা ঘরে প্রবেশ করলে লাশটি শৌচাগারে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
নিহতের মামা নাজিম উদ্দীন অভিযোগ করেছেন, রিদুয়ান মানসিক ভারসাম্যহীন নয়। তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা চেয়েছিলেন, যা না দেওয়ায় তিনি আরফিকে নির্যাতন ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। ঘটনার সময় স্বামী পাগল ভান করে এবং পরিবারের কিছু সদস্য তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ওসি গোলাম সারোয়ার জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।