বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জে বন্দর নবীগঞ্জ এলাকায় অটোস্ট্যান্ড থেকে টোল আদায় এর জন্য সিটি কর্পোরেশন এর অনুমতি নিয়েছেন যুবদলের মাসুদ রানা যদিও এর বাইরেও অনেক কিছু ঘটছে নীরবে।
তিনি বন্দর নবীগঞ্জ থেকে কবিলের মোর পর্যন্ত সিএনজি স্ট্যান্ড এবং পার্কিং স্পট থেকে ইজারা গ্রহণ করেন। এই ইজারার টাকা তোলার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন একাধিক যুবক ও কিশোরদের।
কিন্তু সরজমিনে গেলে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের দেওয়া শর্তগুলোর বাইরেও তিনি অনৈতিকভাবে বিএনপি'র প্রভাব খাটিয়ে সিএনজি, অটো, মিশুকের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার চাঁদাবাজি করেন।
এই বিষয়ে মাসুদ রানার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, 'ভাই সিটি কর্পোরেশন আমাকে কাগজ দিয়েছে। এর বাইরে আমি কোনো কিছু করি না তাই কারো কাছে কোনো জবাবদিহিতা দিতে হবে বলে আমি মনে করি না।'
খোজ খবর নিয়ে আরো জানা যায় যে, নবীগঞ্জ ফেরি ঘাটের রাসেলকে হাত করে বিএনপির মাসুদ রানা ফেরির গাড়িগুলো থেকেও টাকা তুলে। সিএনজি থেকে টাকা তুলে শাহজালাল আর অটো থেকে টাকা তুলে মসলদ্দিন।
গাড়ি চালকদের অভিযোগ হচ্ছে, দেশকে স্বাধীন করতে পারলেও চাঁদাবাজি থেকে মুক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশকে। চাঁদাবাজ আগেও ছিলো এখনো আছে শুধু দল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা কিছু বলতে চাই না বললে আমাদের গাড়ি চালাতে অনেক অসুবিধা হবে।
আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর নবীগঞ্জে গাড়ি চালকদের। কথার আগেই নাকি হাত উঠে যায় মাসুদ রানার সন্ত্রাসী বাহিনীদের। চাঁদা না পেলে গাড়ি চালকদের মারধর করে গাড়ির চাবি রেখে দিচ্ছে মাসুদ রানার নিয়োগ দেওয়া যুবক ও কিশোর সন্ত্রাসীরা।