প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি, সক্রিয় তিনটি গ্রুপ: পুলিশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ মার্চ ২০২৫ ০৪:০৯ অপরাহ্ণ   |   ৮৫ বার পঠিত
প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি, সক্রিয় তিনটি গ্রুপ: পুলিশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:-

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়িকে টার্গেট করে ডাকাতি করছে তিনটি সংঘবদ্ধ চক্র। প্রায় ৩০-৩৫ সদস্যবিশিষ্ট এই দলগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসা প্রবাসীদের অনুসরণ করে তাদের গাড়িতে হামলা চালায়।
 

সম্প্রতি ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুটি প্রবাসী বহনকারী গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় লুট করা মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
 

আজ বুধবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
 

সংঘবদ্ধ চক্র ও ডাকাতির কৌশল.....
পুলিশ সুপার জানান, ডাকাত চক্রগুলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এবং বিশেষ করে বিমানবন্দর ও মহাসড়কের পাশের বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোকে কেন্দ্র করে তাদের সোর্স নিয়োগ করে। এসব সোর্সের মাধ্যমে তারা বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীদের বহনকারী গাড়িগুলোর গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানে পিকআপ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতি চালানো হয়।

 

সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুনকরা এলাকায় কুয়েতপ্রবাসী নাইমুল ইসলাম (চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ) এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী বেলাল হোসেন (ফেনীর দাগনভূঁঞা) এর গাড়িতে একই কৌশলে ডাকাতি করা হয়।
 

অভিযানে গ্রেপ্তার....
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিন ও জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:

  • আবদুল হান্নান (৩৫), মনপুরা, কচুয়া, চাঁদপুর
  • শরীফ হোসেন (৪৫), চরমোহনা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর
  • আলাউদ্দিন (৩৫), নুরপুর, চান্দিনা, কুমিল্লা
  • নজরুল ইসলাম (৬০), জোরপুকুরিয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা
     

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার.....
পুলিশ সুপার আরও জানান, সড়ক ও মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশের ১০টি বিশেষ টিম কাজ করছে।

 

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আসা প্রবাসীদের গাড়িগুলোকে মেঘনা টোলপ্লাজায় একত্রিত করা হয়। যারা পুলিশি সহায়তা নিতে চান, তাদের হাইওয়ে পুলিশ নিরাপত্তার সঙ্গে কুমিল্লা সীমান্তে পৌঁছে দেয় এবং জেলা পুলিশের পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। গত কয়েক দিনে প্রায় ১০০টি প্রবাসী বহনকারী গাড়িকে এভাবে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
 

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম, রাশেদুল হক চৌধুরী, জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।