ঢাকা প্রেস নিউজ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব ছাত্র মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাহিদ ইসলাম। বর্তমানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে গণহত্যার দায়ে দলটির নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের এখন কেবল বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, পাশাপাশি জনগণের কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মাঠে থাকতে কিংবা সুযোগ পেতে পারে না।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো দলের কাছে নয়, বরং জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ। তাই বিএনপি যতই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাক, নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণে সংস্কার কমিশনের কাজের ওপর ভিত্তি করেই এগোবে সরকার।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যে আইনি বাধাগুলি রয়েছে, সেগুলোর পর্যালোচনা করা হবে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিয়ে একটি কার্যকরী রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করা হবে, যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমে কাজ করতে পারে।
তিনি আরও জানান, গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশন এমন আইন প্রণয়ন করবে, যা ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা খবরদারি বন্ধ করবে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নানা দাবি মোকাবিলা করছে, এ বিষয়ে নাহিদ বলেন, কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সব দাবির পেছনে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।