কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিল বিএসএফ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৮ অপরাহ্ণ   |   ৯৪ বার পঠিত
কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বসানো সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিল বিএসএফ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:-

 

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় বসানো সিসি ক্যামেরাটি অবশেষে সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যামেরাটি অপসারণ করা হয়।
 

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এক ক্ষুদে বার্তায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ২টার দিকে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮/৯-এস এর কাছে ভারতের ভেতরের দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী মসজিদের সামনে একটি ইউক্যালিপটাস গাছের সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করে সিসিটিভি ক্যামেরাটি স্থাপন করে বিএসএফের ছোট গাড়লঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
 

বিজিবি এই ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ জানায়। ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সারাদিন এ নিয়ে স্থানীয় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। পরে, ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
 

বৈঠকে বিজিবির কড়া প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ ক্যামেরাটি সরিয়ে নিতে সম্মত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার অনিল কুমার মনোজ।
 

এদিকে, ক্যামেরা সরানোর আগে স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে একটি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। বিএসএফ রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
 

মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষদের স্থাপিত এই মসজিদটিতে ভারত-বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করি। দেশভাগের সময় সীমান্তরেখা টানা হলেও আমাদের সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। পুরাতন মসজিদটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিএসএফ বাধা দেয় এবং দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার তারা রাতের আঁধারে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয়, যা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।"
 

বিজিবি কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্যরেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং আলোচনা শেষে তারা ক্যামেরাটি অপসারণের আশ্বাস দেয়, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়েছে।