টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদ স্টেডিয়ামে বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। তবে সেই আশা ভেঙে দিয়েছেন প্রোটিয়ারা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ম্যাচে মাত্র ৫৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। জবাবে ৯ উইকেটের জয়ের ফলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখাল এইডেন মার্করামের দল।
এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ম্যাচ ছিল সেন্ট ভিনসেন্টে। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সেই ম্যাচ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিনিদাদে সেমিফাইনাল খেলতে নামেন রশিদ খানরা। কিন্তু ভিনসেন্ট থেকে আসার সময় ৪ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় আফগানিস্তানের। বিমান দেরিতে ছাড়ায় পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি রশিদদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের সেটাও একটা কারণ হতে পারে।যদিও রশিদ সেটিকে কারণ বা অজুহাত হিসাবে দেখাতে রাজি নন। টসের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান চার ঘণ্টা দেরি করেছিল। আমরা এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। কিন্তু সেটা ব্যাপার নয়। আমরা খেলার জন্য তৈরি। নিজেদের সেরাটাই দেব।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ। সেটাই হয়তো ভুল হলো তার। মাত্র ৫৬ রানে থিতু হন আফগানরা। ম্যাচশেষে রশিদকে অনেক বেশি চিন্তিত লাগল দলের ব্যাটিং নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হবে। ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই দলে। এবারের প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি। তবে আরও ভালো খেলতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগকে আরও উন্নতি করতে হবে।’
ম্যাচশেষে সেই মার্করাম বলেন, ‘টস হারাটাই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কারণ। টস জিতলে আমরা ব্যাট করতাম। এখানে ব্যাট করা কঠিন ছিল। আমরা ভাগ্যবান যে, জুটি গড়তে পেরেছি। ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল।’মার্করাম বলেন, আগে কখনো ফাইনাল খেলিনি। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের গোটা দল তৈরি ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য।
গোটা বিশ্বকাপে ভালো খেলে আফগান অধিনায়ক রশিদ বলেন, ‘আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি। এই আত্মবিশ্বাসটা তৈরি হয়েছে। পরের বার বিশ্বকাপ খেলতে নামার সময় এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামব। চাপের মধ্যে কীভাবে নিজেকে একটা দল সামলাচ্ছে, তাতেই বদলে যায় ম্যাচের ফল।’