বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের কাছে এই হিসাবসহ নিরীক্ষিত অডিট প্রতিবেদন জমা দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন খলিলুর রহমান খলিল, মো. নুরুজ্জামান ও মাহমুদ আলম।
দলটির অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদস্য চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও প্রকাশনা বিক্রির মাধ্যমে এসব আয় হয়েছে। ব্যয় হয়েছে দলীয় প্রচার কার্যক্রম, অফিস পরিচালনা এবং কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদিতে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকেই এই বিধান কার্যকর রয়েছে।
গত কয়েক বছরের আয়-ব্যয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী:
২০২৩ সালে জাপার আয় ছিল ২ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা।
২০২২ সালে আয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা, ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।
২০২১ সালে আয় দেখানো হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা, ব্যয় ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা, বছর শেষে স্থিতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।
২০২০ সালে ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা, উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। এ তালিকায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি ছাড়াও অন্যান্য দল রয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তারা এবার অডিট প্রতিবেদন জমা দেয়নি। উল্লেখ্য, কোনো রাজনৈতিক দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব না জমা দিলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।