ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
এক মাসের ব্যবধানে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
চিলমারী নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সেলিম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী নৌ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রাজিবপুরের উদ্দেশে তালিকাভুক্ত একটি নৌকা ছেড়ে যায়। নৌকাটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিম দিকে পৌঁছার পরপরই সশস্ত্র ডাকাতদের হামলার শিকার হয়। ১১ জনের ডাকাতদল ডিঙ্গি নৌকায় করে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে নৌকা থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা যাত্রী নৌকার শ্যালো ইঞ্জিনের হ্যান্ডেল নিয়ে যায়।
নৌকার ভুক্তভোগী যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজিবপুরের উদ্দেশে যাওয়ার পথে কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে যখন আমাদের নৌকা অবস্থান করছিল, ঠিক ওই সময় কড়াইবরিশাল চরের তীর থেকে একটি ছোট নৌকা আমাদের দিকে আসতে শুরু করে। পরে কাছে এসেই দেশীয় অস্ত্র, শটগানসহ ডাকাত দলের ১১ জনের একটি দল আমাদের নৌকায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমরা নৌকাসহ চরেই আটকা পড়ি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের নৌকা চালুর ব্যবস্থা করে।’
নৌপুলিশের এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজ নিচ্ছি। ১০/১১ জনের মুখোশ পরা একটি দল নৌকার যাত্রীদের মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে গেছে। আমরা তদন্ত করছি।’
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর চিলমারীর অষ্টমীরচর ইউনিয়নের দুইশ’ বিঘার চরের কাছে নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৬-১৭ জনের ডাকাত দল ‘পিস্তল’ ও দেশি অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে চলে যায়।