ভারতের মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে তোলপাড়

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৭:০৬ অপরাহ্ণ   |   ৩৮ বার পঠিত
ভারতের মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক:-

 

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিখ্যাত ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার অভিযোগে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু নারী ও শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার পর তাদের মরদেহ সেখানে গোপনে কবর দেওয়া হতো।
 

মন্দিরের সাবেক এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর বিষয়টি সামনে আসে। তিনি জানান, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক মরদেহ তাকে গণকবরে دفন করতে বাধ্য করা হয়। এসব মরদেহের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যাদের শরীরে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতার স্পষ্ট চিহ্ন ছিল।
 

শনিবার (২৬ জুলাই) ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। ওই কর্মীর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটনা ঘটে আসছিল। কেউ কেউ নির্যাতনে মারা গেলে গোপনে কবর দেওয়া হতো, আবার কাউকে পুড়িয়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হতো।
 

এই অভিযোগের পর ভারতে মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও নারী অধিকার সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা কর্ণাটক সরকারের কাছে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান। কর্ণাটক নারী কমিশনও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মন্দির প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
 

সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত ৩ জুলাই ধর্মস্থলা থানা গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের একটি পুরনো ধর্ষণ ও হত্যার মামলা আবারও আলোচনায় আসে, যেটি তখন অমীমাংসিত ছিল।
 

তবে বিজেপি এই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছে। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়াদুরাপ্পা বলেন, “ধর্মস্থলায় কোনো অন্যায় হয়নি। যদি তদন্ত করতে হয়, তা হোক। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
 

উল্লেখ্য, ধর্মস্থলা মন্দির কর্ণাটকের নেত্রবতী নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। প্রতিদিন হাজারো তীর্থযাত্রী ও পর্যটক সেখানে যান। রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রেটিদেরও সেখানে নিয়মিত দেখা যায়।