দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও কিছুটা দেখা যাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছে থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১,৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১,৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু-পুদুচেরী উপকূলের কারাইকাল ও মহাবালিপুরাম অঞ্চলে অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার থাকবে, যা দমকা আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই অবস্থায় উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।