কারা কর্তৃপক্ষের ভুলে-কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির দুই আসামির মুক্তি ও আত্মগোপন!

প্রকাশকালঃ ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫০ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
কারা কর্তৃপক্ষের ভুলে-কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির দুই আসামির মুক্তি ও আত্মগোপন!

ঢাকা প্রেস,ষ্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা):-

 

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি সানাউল্লাহ ও মো. আবদুর রহিম কর্তৃপক্ষের ভুলে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ ঘটনা ঘটেছিল ১২ নভেম্বর, তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ২৮ নভেম্বর, যা কারা কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

 

২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সানাউল্লাহ, আবদুর রহিম, মো. হারুন এবং আবুল কাশেম ওরফে কাশেম মাঝির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
 

আইনি প্রক্রিয়া শেষে সানাউল্লাহ (কয়েদি নং-৮৫৯০) এবং আবদুর রহিম (কয়েদি নং-৮৫৯১) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং মো. হারুন (কয়েদি নং-৮৫৯২) ও আবুল কাশেম (কয়েদি নং-৮৫৯৩) গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন।

 

আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করে খালাস পান। তবে রাষ্ট্রপক্ষ খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করলে উচ্চ আদালত ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। এ নির্দেশনার মধ্যেই কুমিল্লা কারাগার কর্তৃপক্ষ আসামিদের মুক্তি দেয়। জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের আদালতের নির্দেশে ডেপুটি জেলার তৌহিদুল ইসলাম খালাসের আদেশ নিশ্চিত করেন এবং ১২ নভেম্বর সানাউল্লাহ ও আবদুর রহিমকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান।

 

আসামিদের মুক্তির বিষয়টি জানাজানি হলে লক্ষ্মীপুরের আদালত ১৪ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কারা বিভাগের ডিআইজি টিপু সুলতান জানান, এ ঘটনা তদন্ত করে কারা কর্তৃপক্ষের ভুল চিহ্নিত করা হচ্ছে। আত্মগোপনে যাওয়া দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে।

 

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আব্দুল্লাহিল আল-আমিন জানিয়েছেন, তারা আদালতের খালাস আদেশ অনুসারে মুক্তি দিয়েছেন, তবে স্থগিতাদেশের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না।
 

এ ঘটনা কারাগার ও আইনি প্রক্রিয়ার ত্রুটির ওপর নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।