ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ চূড়ান্তভাবে এ আদেশ দেন। আদালত কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩১ অক্টোবর, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এই ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
এর আগে, গত ২৮ মে, হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিল। পরবর্তীতে, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া ওই স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিলে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ গণমাধ্যমে আসার পর, আদালত তা তদন্তের নির্দেশ দেন।