ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর কয়েকদিনের আকস্মিক স্রোতে ভয়াবহ ভাঙ্গনের তান্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের গত ৫ দিনের ব্যবধানে সরকারপাড়া জামে মসজিদ, সরকারপাড়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র অধিকাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তাছাড়াও শতাধিক পরিবারের পৈত্রিক বসত ভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে মানবতের জীবনযাপন করছে ভুক্তভোগী অনেকে । এখন স্থায়ীভাবে কোথায় হবে তাদের আশ্রয় স্থান অনেকর মনে দুঃস্বপ্ন রয়েছে।
গত ৫ দিনের ব্যবধানে কুড়িগ্রাম ধরলা নদীর তীব্র স্রোতে ও উজান থেকে ঢন নামায় ধরলার করাল গ্রাসে কেড়ে নিয়েছে অনেকের পৈতৃক বসতভিটা ,পারিবারিক কবরস্থান ও আবাদি জমি।হুমকির মুখে পড়েছে অনেকে মুলাবান সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নংওয়ার্ড ও ২ নং ওয়ার্ডে সরকারপাড়া গ্রামে ধরলা নদীর তিরে সরকারপাড়া জামে মসজিদের স্থানটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে আবাদি জমি পারিবারিক কবরস্থান ভাঙ্গন আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী ।ভাঙন কবলিত এলাকায় ভুক্ত ভোগী পরিবারের অনেকে বসতবাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র , নির্মাণাধীন বাড়ি ভেঙ্গে ইট খোয়া সরিয়ে নিচ্ছেন।
আপাতত আজ ভাঙ্গন কমেছে। আঙ্গনে শিকার ১ নং ওয়ার্ডের সরকার পাড়া গ্রামের ডাক্তার মকবুল হোসেন ( মাস্টার), সফিকুল , তোফাজ্জল , তাইজুল, মাইদুল মজিবর, শাহাবুদ্দিন , জাহের আলী, মেহের আলী, মেয়ের জামাল শাহ জামাল সহ ভুক্তভোগী অনেকের পৈতৃক বসত ভিটা ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায়। তাদের বাড়িঘর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। গত বেশকয়েক দিনের ব্যবধানে ধরলা নদী নিঃস্ব করে দিয়েছে অনেকের জীবন।
হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও আবাদি জমি,তাছাড়াও উত্তরে শত শত একর আবাদি জমি বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , সরকারি মন্ডলপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টার, সরকারপাড়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রর শেষ অংশ ঈদগাহ মাঠ , নূরানী মাদ্রাসা সহ অনেক স্থাপনা। ভাঙ্গনের শিকার মজিবর নদীতে বিলীন বসতভিটার দিকে নির্বাক তাকিয়ে জানান ৫ দিন আগেও এখানেই ছিল তার সাজানো সংসার। উঠানে খেলা করেছিল নাতি-নাতিনীরা।
এখন সেখানে নেই বাড়িভিটার কোন চিহ্ন। তার ভেঙ্গে নেয়া বসতভিটায় এখন খেলা করে নদীর জল। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন রোদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অনেকে পরিবারের লোকজন গৃহ পালিত গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগের জীবন যাপন করছেন । জনশূন্য হচ্ছে গ্রামের মানুষ একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে পুরাতন বসতভিটা ।
ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া এ প্রতিবেদককে মুঠোফোন জানান, বিষয়টি আমি সরে জমিনে তদন্ত করছি ভাঙ্গন রোদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করিয়াছি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানিয়েছেন , আমরা এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক বিষয়টি অবগত হয়েছি । ভাঙ্গন রোধে আপাতত কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন।