আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় চত্বরে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করেনি। বরং আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, বরখাস্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্তাদেশ বাতিল এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দফায় বলা হয়েছে, আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি, সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত (যেমন: মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক ও পৌষ্য বিলিং সহকারী) কর্মীদের নিয়মিত করতে হবে। মামলাগুলো প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। সব সংযুক্ত, সাময়িক বরখাস্ত এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন সংক্রান্ত বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে।
দ্বিতীয় দফার মধ্যে রয়েছে, ১৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে অদ্যাবধি হয়রানিমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।
দাবির তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করতে হবে এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সময় যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে পুনরায় যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও সর্বশেষ ৪র্থ দফায় বলা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।