প্রকাশকালঃ
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০৬ অপরাহ্ণ ৮৪১১ বার পঠিত
ব্যাংক খাতে লুটপাটের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। সেই সব খবর গণমাধ্যমেও আসছে ফলাও করে। লুটপাটের পর পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ব্যাংকগুলো ধারদেনা করেও চলতে হিমশিম খাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এক দিনেই রেকর্ড ২৪ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, ১৫ বছরে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ২৪টি ছোট-বড় অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুট হয়েছে; যা বর্তমান মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাজেটের ১২ শতাংশের বেশি।
গতকাল শনিবার সিপিডি আয়োজিত অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনাবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
সিপিডির এই প্রতিবেদন নিয়ে খবর ছেপেছে প্রায় সব কয়টি জাতীয় পত্রিকা। কালের কন্ঠ শিরোনাম করেছে - ঋণের নামে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট। তারা লিখেছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে গত ১৫ বছরে ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিপিডি বলছে, ঋণ অবলোপন, পুনর্নির্ধারণ এবং আদালতের স্থগিতাদেশ বিবেচনায় নিলে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
তারা লিখেছে, ঋণখেলাপির পরিমা ২০০৮ সালে যেখানে ছিল ২২ হাজার কোটি, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
অর্থ সংকট তাই ভর্তুকি পরিশোধে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করবে সরকার! বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি।
বলা হচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। কিছু খাতে তা বকেয়া রয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ অবস্থায় ভর্তুকি পরিশোধে বিকল্প পথ খুঁজছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রস্তাব উঠেছে ভর্তুকির অর্থ নগদে পরিশোধ না করে স্পেশাল ট্রেজারি বন্ডে রূপ দেয়ার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগের গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।