বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার পদক্ষেপ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

প্রকাশকালঃ ০৫ জুন ২০২৪ ০১:০৪ অপরাহ্ণ ৭৫৪ বার পঠিত
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার পদক্ষেপ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

ঢাকা প্রেসঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বক্তৃতা করেছেন। তার বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের উপর জোর দিয়েছেন।

 

স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা: ডা. সেন বলেছেন যে, সরকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা, উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নত করা।


শিক্ষার মান উন্নত করা: মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পড়াশোনা
করে একজন যোগ্য চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, সরকার শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে কাজ করছে।


ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার: ডা. সেন ডিজিটাল ব্যবস্থা শিক্ষায় যে অবারিত সুযোগ-সুবিধা আনছে তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন।


সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা: সরকার সকলের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

 

ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তার বক্তব্যে তিনি যেসব পদক্ষেপের উপর জোর দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।

এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে: অর্থায়ন: স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। মানবসম্পদ: দক্ষ চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর ঘাটতি পূরণ করা। অবকাঠামো: সারা দেশে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।

সরকার যদি এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে যোগ্য চিকিৎসক হয়ে ওঠে এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখে।