আমীরে জামায়াতের সাথে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বৈঠক অনুষ্ঠিত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ জুন ২০২৫ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ   |   ৪১ বার পঠিত
আমীরে জামায়াতের সাথে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বৈঠক অনুষ্ঠিত

আরিফুজ্জামান (সাগর),বিশেষ প্রতিনিধি:-

 

২৩ জুন বেলা ২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কানাডার ঢাকাস্থ হাইকমিশনের মান্যবর হাইকমিশনার মি. অজিত শিং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সাথে সৌজন্য বৈঠক করেন। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বৈঠকে মান্যবর হাইকমিশনারের সাথে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার মিস. সিওভান কের ও পলিটিক্যাল এ্যান্ড ইকনোমিক এডভাইজার মি. নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 
 

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সাথে ছিলেন নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 
 

বৈঠক শেষে আমীরে জামায়াতের পক্ষে নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের সাংবাদিকদের জানান, মান্যবর কানাডিয়ান হাইকমিশনার ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাদেরকে জানিয়েছি যে, আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের প্রায় উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে ঐকমত্য কমিশনের সাথে সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার সংলাপে বসেছি। যেমন একই ব্যক্তির প্রধান মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দুইবারের বেশি না রাখা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তাতে প্রবাসীদের অন্তর্ভূক্তকরণ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আমরা মান্যবর হাইকমশনারকে জানিয়েছি যে, দুঃখজনকভাবে যদি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। আমরা সরকারকে বলেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা দরকার। আর কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের কনসার্ন অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছি। 
 

সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুসঙ্গিক খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। এব্যাপারে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর নিকট আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছি। মান্যবর হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। 
 

কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ করা হয়।