ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং ব্যয়ের কার্যকর ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। চলতি বছরের বাজেটের তুলনায় নতুন প্রস্তাবিত বাজেট ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৬ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশ।
বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩.৬ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় বৃদ্ধি এবং রাজস্ব আদায়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বাজেটের আকার কিছুটা সংকুচিত করতে হয়েছে। সুদ পরিশোধে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বেতন, ভাতা ও ভর্তুকির খাতে বরাদ্দ আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাতে সই করেন। এর পর অর্থ উপদেষ্টা বিটিভিতে গিয়ে বাজেট উপস্থাপনার রেকর্ডিং করেন, যা বিকেলে সম্প্রচার করা হয়।
