জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ মে ২০২৫ ১২:২৮ অপরাহ্ণ   |   ৯৭ বার পঠিত
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ সোমবার মামলার যাবতীয় নথিপত্র ও সিডিসহ প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়।
 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। মামলার অপর দুই অভিযুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
 

প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই ও বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) হিসেবে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
 

এই নিয়ে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় দ্বিতীয়বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। এর আগে চারখারপুলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল একই সংস্থা।
 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশনের সময় আবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
 

এর আগেও গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো, হত্যার নির্দেশ দেওয়া ও পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালায়, যাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। অবশেষে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরবর্তী সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে।