চিলমারীতে সরকারী প্রণোদনাসহ কৃষি কর্মকর্তা জনতার হাতে আটক 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০২:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৪৬৬ বার পঠিত
চিলমারীতে সরকারী প্রণোদনাসহ কৃষি কর্মকর্তা জনতার হাতে আটক 

ঢাকা প্রেস
হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারি প্রণোদনার আওতায় কৃষকের মাঝে বিতরণের ৫ প্যাকেট সবজি বীজ ও ১২০ কেজি সার কীটনাশকের দোকানে বিক্রির সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে স্থানীয় জনগণ হাতে নাতে আটক করেছে।


 



রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দেড়টার দিকে রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারের মেসার্স ইকবাল ট্রেডার্স নামের একটি কীটনাশকের দোকানে সার -সবজি বীজ বিক্রিসময় এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই বিএসের নাম আতোয়ার রহমান। তিনি রমনা মডেল ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রনোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এদিন দুপুরে প্রণোদনের পুষ্টি বাগানের সবজির বীজ ও সার অফিস থেকে তুলে জোড়গাছ বাজারের একটি কীটনাশকের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন ওই বিএস। পরে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই সার ও বীজসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে আটক করে। আটকের পর উপজেলা কৃষি অফিসারকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কীটনাশকের দোকানের ভিতরে পুষ্টি বাগানের জন্য ৫ প্যাকেট সব্জির বীজ ও পাঁচ বস্তা (২৪ কেজির বস্তা) সার দেখতে পাওয়া যায়। এসময় স্থানীয় জনতার বেশ উপস্থিতি ছিল। স্থানীয় মাহমুদুল হাসান বাবু, লুৎফুর রহমান লিপ্টন, আবু সাইদ হোসেন, আবু হানিফাসহ বেশ কয়েকজন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কৃষি অফিস থেকে অটোতে করে সার ও বীজ বিক্রি করার জন্য এই দোকানে নিয়ে আসেন। পরে আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে হাতেনাতে ওই বিএসকে দোকানে আটক করি। কৃষকের সার কিভাবে দোকানে বিক্রি হয় এই প্রশ্ন স্থানীয় কৃষকদের। তারা তদন্ত করে ওই বিএসকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান। দোকান মালিক ফারুক ইসলাম জানান, আমার সারের দোকান ওই বিএস অটোতে করে দোকানে সার এবং বীজ নিয়ে আসেন। বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এনেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু দোকানে নিয়ে এসেছে তাহলে অবশ্যই বিক্রির জন্য। অভিযুক্ত বিএস আতোয়ার রহমান বলেন, পুষ্টিবাগানের বীজ ও সার কৃষকরা তুলে এনে দোকানে রেখেছে, তারা আগামীকাল নিয়ে যাবে। সার বিক্রির প্রশ্নে তিনি গড়িমসি করেন।

চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, খবর শোনার পর আমি এখানে এসেছি এই সার এবং বীজ কেন এখানে এবং কিভাবে এসেছে সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। পরে তিনি সার ও বীজ জব্দ করে নিয়ে যান।