মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজদের হামলায় তিন নৌপুলিশ আহত, দুই যুবক গ্রেপ্তার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:২৭ অপরাহ্ণ   |   ৫৫ বার পঠিত
মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজদের হামলায় তিন নৌপুলিশ আহত, দুই যুবক গ্রেপ্তার

মো: কউছার সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি (কুমিল্লা):-


 

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নৌপথে চাঁদাবাজদের হামলায় তিন নৌপুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
 

আহতরা হলেন— এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও কনস্টেবল সাইদুর। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
 

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ। তারা হলো— চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল বারেকের ছেলে মো. রানা (২৭) ও একই গ্রামের রুফ মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (১৮)।
 

এর আগের দিন, সোমবার বিকেলে মেঘনার কাঁঠালিয়া নদীতে চাঁদাবাজির সময় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরস্বতী চর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আক্তার হোসেনকে (৪৫) আটক করে নৌপুলিশ। তিনি নৌপথের শীর্ষ চাঁদাবাজ মামুনের চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।
 

নৌপুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে এক সুকানি ফোনে জানান— কিছু চাঁদাবাজ তাদের মারধর করছে টাকার দাবিতে। খবর পেয়ে নৌপুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদাবাজরা টেঁটা নিক্ষেপ করে, এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
 

বাল্কহেডের এক সুকানি বলেন, “এই নৌপথে চলাচল করতে গেলে প্রায়ই চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয়। তারা পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে। পুলিশ না থাকলে তারা নৌকা নিয়ে আসে, অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে, না দিলে মারধর করে। আজ তারা নৌপুলিশকেও আক্রমণ করেছে।”
 

চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসাইন বলেন, “নৌপথে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তখন চাঁদাবাজরা আমাদের লক্ষ্য করে টেঁটা ছুড়ে মারে। আত্মরক্ষার্থে আমরা ২১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ি। এতে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়।”
 

তিনি আরও জানান, আটক দুই যুবককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মেঘনা নদীর নৌপথ নিরাপদ রাখতে নৌপুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।