বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “যেসব আসনে গড় ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেখানে অতিরিক্ত আসনের প্রস্তাব এসেছে। আবার যেসব আসনে ভোটার তুলনামূলক কম, সেখান থেকে একটি করে আসন বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ ও কারিগরি কমিটি।”
ইসি আনোয়ারুল আরও জানান, ৪২টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গড়ে প্রতি আসনে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ জন ভোটার ধরা হয়েছে।
গাজীপুরে ভোটার সংখ্যা বেশি থাকায় ১টি নতুন আসন সংযোজনের এবং বাগেরহাটে ভোটার সংখ্যা কম থাকায় ১টি আসন বিয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পঞ্চগড়: ১ ও ২
রংপুর: ৩
সিরাজগঞ্জ: ১ ও ২
সাতক্ষীরা: ৩ ও ৪
শরিয়তপুর: ২ ও ৩
ঢাকা: ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯
গাজীপুর: ১, ২, ৩, ৫ ও ৬
নারায়ণগঞ্জ: ৩, ৪ ও ৫
সিলেট: ১ ও ৩
কুমিল্লা: ১, ২, ১০ ও ১১
নোয়াখালী: ১, ২, ৪ ও ৫
চট্টগ্রাম: ৭ ও ৮
বাগেরহাট: ২ ও ৩
খুলনা: (বিদ্যমান বিন্যাস অপরিবর্তিত)
তিনি আরও বলেন, এসব সীমানা পরিবর্তন প্রস্তাবে যদি কারও আপত্তি থাকে, তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হবে আগামী ১০ আগস্ট।
নির্বাচন কমিশনার জানান, সংবিধানের ১১৯ থেকে ১২৪ ধারা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে আসন সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব কমিশনের ওপর ন্যস্ত। এই প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞদের মতামত ও জনশুমারির (২০২২) তথ্য গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে।