ঢাকা প্রেস,লাইফস্টাইল ডেস্ক:-
মানুষের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। সারাদিনের কাজ শেষে শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করতে রাতে প্রশান্তির ঘুম অত্যাবশ্যক। ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে নতুন দিনের জন্য আপনাকে তৈরি করে তোলে। সঠিক ঘুম, সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা—এগুলোই ভালো স্বাস্থ্যের মূল উপাদান। কিন্তু শুধু ঘুমালেই হবে না, সঠিকভাবে ঘুমানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের ধরন ও অভ্যাস বিভিন্নজনের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে—কেউ কাত হয়ে, কেউ চিৎ হয়ে, আবার কেউ উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন।
ঘুমের পরিমাণ, ঘুমানোর ধরন এবং আপনি কোন ধরনের বিছানায় ঘুমাচ্ছেন—এসবই স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নেই, কোনভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
মানুষ বিভিন্নভাবে ঘুমায়—কেউ পাশ ফিরে, কেউ উপুড় হয়ে, কেউ বা চিৎ হয়ে। বেশিরভাগ মানুষই পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যস্ত। কেউ ডানদিকে, কেউ বা বামদিকে ফিরে শুতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
গবেষণা অনুযায়ী, ডান দিকে ফিরে ঘুমানো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো রাখে। আবার কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বাম দিকে ফিরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। বাম দিকে শোয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং এটি ঘুমের সঠিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া, বাম বা ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে, নাক ডাকা এবং নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা কমে যায়।
অনেকেই উপুড় হয়ে শোয়া পছন্দ করেন, যদিও এটি সাময়িক আরাম দেয়, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত উপুড় হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড ও ফুসফুসে চাপ পড়ে, যা শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ কারণে উপুড় হয়ে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে এবং ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে কোমরে ব্যথা, ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দেখা দিতে পারে।
যাদের হৃদরোগ, গ্লুকোমা বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাম দিকে শোয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
সুতরাং, স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ঘুমানোর অভ্যাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।