বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে বিএনপি-জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নেই।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, "দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। এই অবস্থায় দল-মত নির্বিশেষে সকল নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মী ও নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক, তবে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে।"
তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, “২০ বছর আগের তারেক রহমান আর আজকের তারেক রহমানের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। তিনি এখন দায়িত্বশীলভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন, এবং তার নেতৃত্বে পরিপক্বতা এসেছে—যা এখন অনেকেই স্বীকার করছেন।”
সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচনের বিকল্প শুধু নির্বাচনই হতে পারে। আমরা সংস্কার চাই, তবে সেটি হতে হবে দেশের স্বার্থে। কিছু বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তি আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করে প্রচার করছেন। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা দেশেই থেকে কথা বলছি, আপনারা বিদেশে বসে আমাদের সমালোচনা করছেন। সাহস থাকলে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করুন।”
বর্তমান সরকার ও প্রশাসন নিয়ে তিনি বলেন, “১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। প্রশাসনে বিএনপির লোক বসে আছে—এটা হাস্যকর। বরং আমরা চাই, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা ও প্রশাসনের সদস্যরা নির্যাতনে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচার হোক।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। এসব অপচেষ্টা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
ড. ইউনূসকে উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনার চারপাশে যারা আছে, তারা অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। সচিবালয়ের পাঁচজন সচিবসহ আপনার উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য আপনাকে ভুল পথে চালিত করতে পারে। আপনি সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার সফলতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
আলোচনা সভায় গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু।