অতি বৃষ্টি ও বন্যায় কুড়িগ্রামে পটল চাষিদের মাথায় হাত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২১ আগu ২০২৫ ০৪:০৯ অপরাহ্ণ   |   ২৮ বার পঠিত
অতি বৃষ্টি ও বন্যায় কুড়িগ্রামে পটল চাষিদের মাথায় হাত

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রামে বৃ‌ষ্টি আর নদ-নদীতে পানি বাড়ার কার‌ণে বি‌ভিন্ন সব‌জির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ‌বিশেষ করে পটল ক্ষেতসহ অন্য সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষ‌তিগ্রস্ত হয়েছেন চা‌ষিরা। দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তারা।
 

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের প্রবাহমান ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় নিচু এলাকার আমন ধান, কলা ও সবজিক্ষেত। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পটোল চাষিরা।
 

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় দুই হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা এখন পর্যন্ত অর্জন করা হয়েছে ৮৭০ হেক্টর জমিতে। এই ৮৭০ হেক্টর জমির মধ্যে রোপণকৃত সবজিসহ পটলের ক্ষতি হয়েছে ৮৩ হেক্টর। এ ছাড়া ৬২১ হেক্টর আমন ধান ও ১০ হেক্টর কলাক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে।
 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে ধরলা নদীর চরাঞ্চলে কৃষকরা প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করেছেন। তবে যারা দেরিতে পটল চাষ করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি।
 

ছড়ারপাড় গ্রামের কৃষক মমিনুল বলেন, ‌‘৩৫ হাজার টাকা খরচ করে দুই বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছি। কিছুটা পটল তুলতে পেরেছি। পরে বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।’
 

একই গ্রামের জামাল ও নুর ইসলাম জানান, প্রথমে বৃষ্টিতে পটল গাছের ফুলগুলো মারা যায়। পরে সার, কীটনাশক দেওয়ার পর আবার ফুল ধরা শুরু করে। শেষে হঠাৎ করে বন্যা এসে পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তারা আসল টাকাই তুলতে পারেননি।
 

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় ৮৩ হেক্টর জমির সবজি পানিতে নিমজ্জিত। এরমধ্যে পটলও রয়েছে। পটল একবার পানিতে ডুবে গেলে আর সারভাইভ করতে পারে না। এজন্য পটল ক্ষেত ভেঙে আগামভাবে লাউ, কুমড়া বা বেগুন চাষ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।