সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, রিয়ানা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পরিবারের সঙ্গে ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভেলি’-তে রাত যাপনের পর শনিবার সকালে তারা করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য একটি নৌকায় রওনা হন।
নৌকাটিতে মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে একটি বড় জাহাজের সৃষ্ট ঢেউয়ে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে সবাই নদীতে পড়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও রিয়ানাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রিয়ানার বাবা, বিমান বাহিনীর প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন,
“আমরা ঢাকার উত্তরায় থাকি, গ্রামের বাড়ি বরিশালে। পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলাম। জাহাজের ঢেউয়ে ছোট্ট নৌকাটি উল্টে যায়। আমরা সবাই পানিতে পড়ে যাই, কিন্তু ১২ জন উঠতে পারলেও রিয়ানাকে আর খুঁজে পাইনি।”
ঘটনাস্থলে এখনো তল্লাশি চলছে, তবে শেষ খবর পর্যন্ত রিয়ানার কোনো সন্ধান মেলেনি।