আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
মামলার সাক্ষ্য দিতে আদালতের তলব আদেশ অমান্য করায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শাহীনুর রহমান সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আদালতে হাজির হয়ে তার লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ( ০৯ এপ্রিল ) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত মিয়া বৃহস্পতিবার ( ১০ এপ্রিল ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় সংঘটিত মারামারির একটি মামলায় ২০২১ সালে অভিযোগ গঠন হয়। এরপর থেকে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। কিন্তু ওই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আরএমও ডা. শাহীনুর রহমান সরদারকে অনেকবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি হাজির হননি।
সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবারও প্রসেস ইস্যু করে আরএমও’কে আদালতে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার ( ০৯ এপ্রিল ) সাক্ষ্য প্রদানের তারিখ নির্ধারিত ছিল। এদিন আসামিরা আদালতে হাজির হলেও সাক্ষ্য দিতে আরএমও আদালতে হাজির হননি। এতে উষ্মা প্রকাশ করেন আদালত।
আরএমওর বিরুদ্ধে লিখিত আদেশে আদালত বলেন, ‘দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও আপনি সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদালতে হাজির হননি। এতে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আপনি (আরএমও) আদালতের বৈধ আদেশ অমান্য করেছেন, যা আদালতের আদেশ অবজ্ঞার শামিল। সঙ্গত কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে না তা আগামী ১৫ মে ২০২৫ তারিখ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’ একই সঙ্গে ওই তারিখে সংশ্লিষ্ট মামলার সাক্ষ্য দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত মিয়া বলেন, ‘ আদেশের কপি সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বরাবর পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ আদালতের আদেশ মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা যেন আদালতের আদেশ যথাযতভাবে মেনে চলেন সে বিষয়ে আমি নির্দেশনা দেবো। এসব বিষয়ে কীভাবে আরও সচেষ্ট থাকা যায় তা খেয়াল রাখতে বলবো।’