প্রথম দিনেই তিন জাহাজে সেন্টমার্টিনে গেলেন ১,১৭৪ পর্যটক

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:১১ অপরাহ্ণ   |   ৩২ বার পঠিত
প্রথম দিনেই তিন জাহাজে সেন্টমার্টিনে গেলেন ১,১৭৪ পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে এসব জাহাজ রওনা হয়। এতে মোট ১,১৭৪ জন পর্যটক ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জাহাজগুলো দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
 

প্রথম দিনেই অনলাইনে নিবন্ধন ছাড়া টিকিট বিক্রির অভিযোগে কেরী সিন্দাবাদ জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 

ভোর ৬টা থেকেই পর্যটকদের জাহাজে ওঠা শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা সরকারের দেওয়া ১২ দফা নির্দেশনা নিশ্চিত করতে জেটিঘাটে অবস্থান নেন।
 

একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধে সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে প্রত্যেক পর্যটককে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল সরবরাহ করা হয়।
 

‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’–এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, “প্রথম দিন তিনটি জাহাজে মোট ১,১৭৪ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে গেছেন।”
 

জেলা প্রশাসনের তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, সরকার নির্ধারিত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের বেশি যেন দ্বীপে প্রবেশ না করেন, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি চলছে।
 

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে পর্যটকদের অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল দেওয়া হয়েছে।
 

আজ থেকেই পর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাতযাপনের সুযোগ মিলছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক এই প্রবাল দ্বীপে যেতে পারবেন। কক্সবাজার থেকে সকাল ৭টায় জাহাজ ছেড়ে যাবে এবং পরদিন বিকেল ৩টায় ফিরে আসবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস এই ভ্রমণ চালু থাকবে।
 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি দ্বীপসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।