নির্বাচন কমিশন (ইসি) চূড়ান্তভাবে যে ৩০০টি সংসদীয় আসনের সীমানা ঘোষণা করেছে, তা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন তোলা বা আদালতে আপত্তি জানানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আন্দোলন বা বিক্ষোভ করেও এতে কোনো ফল আসবে না।”
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী প্রায় ৫২টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। গাজীপুরে একটি আসন বেড়েছে, অপরদিকে বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়েছে। এই নতুন সীমানা অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, “২০২২ সালের আদমশুমারি, হালনাগাদ ভোটার তালিকা, প্রশাসনিক কাঠামো ও ভৌগলিক বাস্তবতা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেবল একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করলে অসঙ্গতি তৈরি হতো। তাই সব দিক সমন্বয় করেই চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “খসড়া প্রকাশের পর প্রাপ্ত দাবি-আপত্তি গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে।”
সীমানা পরিবর্তন ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ হলেও কমিশনের অবস্থান সুস্পষ্ট। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আইন অনুযায়ী এসব প্রতিবাদের কোনো বৈধতা নেই। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট নয়।”
এ সময় তিনি জানান, চলতি মাসেই রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে। নিবন্ধনের শেষ ধাপে নাম নিয়ে আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকবে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতার কোনো তথ্য কমিশনের কাছে নেই বলেও জানান কমিশনার।