ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-
গাইবান্ধা জেলা বিএনপি,পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, কমিটি বানিজ্য, জমি দখল,চাঁদাবাজি, নারী কেলেংকারীর অভিযোগ কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আবার কখনো সংবাদ সম্মেলন করে প্রচার করা হচ্ছে।
এতে করে গোটা গাইবান্ধা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই জানিয়ে প্রতিটি অভিযোগ ও অপপ্রচারের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন দলটির নেতারা।
সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিক এর বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্যসহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জরিত থাকার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: হামিদুল হক ছানা।তার অভিযোগের ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন ডা: সাদিক।
জমি দখল ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক সেনা সদস্য ও একজন ব্যবসায়ী।
তাদের করা অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবি করেছেন আবুল কালাম আজাদ তিনি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছামাদ মন্ডল মারোর বিরুদ্ধে আওয়ামিলীগ নেত্রীকে উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি করা সংক্রান্ত একটি ভিডিও যমুনা টিভিতে প্রচারিত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।এরপর তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি।যা চলমান।
এদিকে যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ না করলে ও তারপক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ফেক আইডি থেকে সাধারন সম্পাদক আবু আলা মওদুদ এর একটি অডিও ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন আবু আলা মওদুদ।
এদিকে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোশফেকুর রহমান রিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুলদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়।এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
ধারাবাহিকভাবে প্রথম সারির এসব নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কারনে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগনের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে সকল অপপ্রচারের প্রতিবাদ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাদের নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে জানাচ্ছেন।
তারা বলছেন বিগত ১৭ বছর মামলা হামলা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার প্রথম সারির এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে একটি বিশেষ মহল তাদের স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য ওঠে পরে লেগেছে।তারা যেকোন অপপ্রচার জনগনকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত ভাবে রুখে দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
একের পর এক নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোষররা জনগনকে বিভ্রান্ত করতেই গাইবান্ধায় জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।