ঢাকা প্রেস,নিজস্ব প্রতিবেদক:-
রাজধানী উত্তরা আজিমপুর রেলগেট এলাকায় অনুমতিহীন রোকেয়া ক্লিনিক চলছে অনিয়মের মধ্যে।
এলাকাবাসীর দাবি প্রায় রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের নিচে উচ্চ স্বরে ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে গালমন্দ করে। স্বজনদের দাবি ডাঃ সবসময় এই ক্লিনিকে থাকেনা, রোগীর কোন সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার কল করে আনা হয়।
এক রোগীর স্বজন মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার রোগীর বাচ্চা প্রসবের বিষয়ে এই ক্লিনিক এর সাথে চুক্তি করা হয়, বারো হাজার টাকার মধ্যে সবকিছু কমপ্লিট করে দেবে, কিন্তু পরবর্তীতে বিল করা হয় ১৫ হাজার।
আজ ১৭ ই নভেম্বর সরেজমিন এ রোকেয়া ক্লিনিকে গেলে দেখা যায়, সকাল ১০:০৭ কিন্তু কোনো ডাক্তার ক্লিনিকে নেই, দুইজন ডিপ্লোমা নার্স দিয়ে চলছে পুরো ক্লিনিক। তবে ১০:৪২ এ একজন ডাক্তার প্রবেশ করেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের এই ডাক্তারকে রেজিস্টার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে ডাক্তার সরাসরি বলেন আমি হাসপাতালের কোন দায়িত্বে নেই। ডাক্তার বলেন, ক্যামেরা বন্ধ করেন আমি আমার নাম পরিচয় দিতে চাচ্ছি না, আমি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এখানে আসি, আমি চেম্বার করার মতো করে এখানে কাজ করি।
ক্লিনিকের ভিতরে পরিপাটি একটি ফার্মেসি থাকলেও ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টের কোন ফার্মাসিস্ট পাওয়া যায়নি। পরিবেশ ছাড়পত্রের , ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন, পরিচালনার অনুমোদন, হাসপাতাল বিল্ডিং নকশার অনুমোদন কোন কিছুই কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। পারভিন নামের এক নারী কর্মকর্তা বলেই বসলেন মাসুদ রেজার হাসপাতালে এগুলা লাগেনা।
মালিক মাসুদ রেজা সাংবাদিকদের অবস্থান টের পেয়ে সেখান থেকে চলে গেলেও তার মামা পরিচয়ে একজন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে আসেন, তার নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি রোকেয়া ক্লিনিকের বিষয়ে কিছুই জানিনা। সব জানে মাসুদ রেজা।
কোনো অনুমোদন না থাকলেও ল্যাবে চলছে একের পর এক টেস্ট।অথচ ক্লিনিকটির কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ প্রাপ্ত নেই। পার্ট টাইম কাজ করে বলে একজনকে দাবি করা হয়। দুইজন নার্স দিয়ে একটি ক্লিনিক কিভাবে পরিচালিত হয় এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে।
সব নাকি মাসুদ রেজার ক্ষমতা বলে চলছে কে এই মাসুদ রেজা?
মাসুদ রেজা আওয়ামী লীগের ৫ নং বড়ইয়া ইউনিয়ন শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিতেন, কিন্তু বর্তমানে বিএনপি নেতা বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে পছন্দ বোধ করেন। যদিও তার ফেসবুক পুরোটাই আওয়ামী লীগের বন্দনায় ভরপুর।
উত্তরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার অবস্থান ছিল ছাত্রদের বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ মিলেছে।
উত্তরায় বৈষম্য বিরোধী নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান উত্তরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক রা এরই ধারাবাহিকতায় ফাঁসি চাই বিচার চাই এমন স্লোগান লিখে মাসুদ রেজার বিরুদ্ধে একটি পোস্টার তৈরি করে। ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ইমরান হাসান বলেন রোকেয়া ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ আছে তারপরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয় না।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট এর ডক্টর সালমুন নাহার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ডাইরেক্টর (হসপিটাল এন্ড ক্লিনিক)এর কাছে জানতে চাইতে পারেন। এই বিষয়টি আমার নয়।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর (হসপিটাল এন্ড ক্লিনিক) মনির হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখছি।