 
                            
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন মোহাম্মদ হানিফের ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৪ সালের এই দিনে তিনি পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেয়র হানিফ ছিলেন আবদুল আজিজ এবং মুন্নি বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান।
১৯৬৭ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার প্রখ্যাত পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাজেদ সরদারের কন্যা ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। পুত্র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জাতীয় সংসদে ঢাকা-৬ আসনের সদস্য।
জীবনের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল। তিনি ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় তিনি ৬ দফা মুক্তির সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দেন এবং মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন ১৯৯৪ সালে। তারই নেতৃত্বে ’৯৬র মার্চে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে গণজোয়ার সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ হানিফ। যা ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানব-ঢাল রচনা করে তার প্রিয়-নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফ। গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও মারাত্মক আহত হন মোহাম্মদ হানিফ এবং দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্পিলন্টার ঢুকে পড়ে।
দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করে মোহাম্মদ হানিফ ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মোহাম্মদ হানিফের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র হানিফ স্মৃতি সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে তার কর্মময় জীবন স্মরণ করে আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল ও ‘অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ’ ইত্যাদি।
নন্দিত এই নেতার একমাত্র পুত্র সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                         
                                        
                                        
                                    